Home » , » অনলাইন আয়ের সকল যাবতীয় সমাধান

অনলাইন আয়ের সকল যাবতীয় সমাধান


অনলাইন আয় কী ?

অনলাইন আর্নিং এখন আর অবাস্তব কিছু নয় এবং এর অনেক পথই খোলা আছে। তবে কিছু কিছু ভাই বুঝে হোক না বুঝে হোক আর সঠিক আরনিং সাইট না চিনেই হোক স্কাম বা ভুয়া সাইটের লোভনীয় আয়ের প্রচার চালিয়ে যেমন নিজেও হয়রান এবং বিভ্রান্ত হন, তেমনি আমাদেরও রীতিমত ধোকায় ফেলে দেন। তাই আমি আজ আসল অনলাইন আরনিং সাইটের পরিচয় ও পদ্ধতি সম্পর্কে বলবো যাতে কেউ প্রতারিত না হন। আর আপনি চাইলেই অনলাইন থেকে আর্ন করতে পারবেন, তা ১০০% নিশ্চিত?
প্রকৃত আরনিং সাইটের প্রথম বৈশিষ্ট্যই হল--সাইট কর্তৃপক্ষ  এবং আয়কারীদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগস্থাপন হয়ে থাকে। এমনকি সেই সাইটের ফোরামের মাধ্যমে বা FAQ এর মাধ্যমে তারা তাদের প্রশ্নোত্তর ও সদস্যদের নানা সমস্যার  সমাধান দিয়ে থাকে।  আয়কারী সদস্যরাও তাদের মতামত-পরামর্শসহ লেখালেখির সুযোগ পান; মানে জবাবদিহিতা আছে মানে যাকে বলে ইন্টারেক্টিভ সাইট। ফলে কোন সন্দেহ, বিভ্রান্তি যেমন থাকেনা তেমনি সেই সাইটের সদস্যও দ্রুত বেড়ে যায় এবং লেনদেনের অস্বচ্ছতাও থাকে না। পেমেন্টও নিশ্চিত থাকে। অন্যদিকে স্কাম বা ভূয়া সাইটের প্রথম কাজই হল--কাউকে ধরা না দেয়া বা কারো প্রশ্নের কোনরকম জবাব না দেয়া আর জবাবদিহিতা ও কোন পেমেন্টের তো প্রশ্নই আসেনা। শুধু সাইটের  কিংবা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই অবাস্তব অফার দেয়া এবং লোভ দেখানো; বড়কথা ওসব সাইটে কোন ফোরাম থাকেনা বা FAQ পদ্ধতিও নেই।
সঠিক ও প্রকৃত আরনিং সাইটের আয় যৎসামান্যই হয়ে থাকে স্মরন রাখবেন । গুগল এডসেন্স থেকে আয় হয় সত্য, তবে বড় ঝামেলার। আপনার থাকতে হবে একটা ওয়েবসাইট, যা গুগল থেকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য অনুমোদিত হতেই হবে। অনুমোদন পাওয়া অনেক কঠিন, আমি ৬ মাস যাবত আমার ওয়েবসাইট সাবমিট করেও এখনও অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলে তারা আপনার সাইটে নিয়মিত বিজ্ঞাপন সরবরাহ করবে এবং আপনার পাঠক যদি কোনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে নির্দিষ্ট সময় ধরে ভিজিট করে, তবেই আপনার একাউন্টে ১,২ বা ৫/১০ সেন্ট ক্ষেত্রবিশেষে ১/২ ডলার পর্যন্ত জমা হবে। তাও আবার আপনি নিজে কিন্তু কোন এডে ক্লিক করতে বা কাউকে উৎসাহিত করতে পারবেন না। শর্ত ভাংলেই একাউন্ট বাতিল বা ব্লক হবে।
তবে যাদের সাইট নেই তারা কি আয় করবেন না? অবশ্যই করবেন এবং এজন্য আছে PTC (paid to click/paid per click) পদ্ধতি। এটা সবচে সহজ পদ্ধতি। কারন অধিকাংশ সাইট প্রতিক্লিকে ১-১০ সেন্ট পর্যন্ত পে করে। তবে আমি আপনাদের কিছু টেকনিক জানাবো যাতে PTC'র মাধ্যমেই ভাল আয় করতে পারেন। প্রথমেই আপনাকে একটি এলা্র্টপে একাউন্ট তৈরি করতে হবে যদি না থাকে।( https://www.alertpay.com ) গিয়ে Personal Pro Catagory তে একটি একাউন্ট খুলে তা ভেরিফাই করুন। ভেরিফাইড না হলে সমস্যা হবে।
এলার্টপে পাতাটি ওপেন হলে একাউন্টের জন্য তিনটি অপশনের মধ্যে পারসোনাল প্রো অপশনটিতে ক্লিক করে টিক চিহ্ণিত দেখালে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং পরের পেজ এলে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন শেষ করবেন । আবার বলি- Personal Pro Catagoryতে একাউন্ট খুলে তা ভেরিফাই করতে হবে। ভেরিফাইড না হলে আয় করলেও কিন্তু ঝামেলা হতে পারে। ভেরিফাইয়ের জন্য আপনার একাউন্টে তিনটি অপশনের মধ্যে A ও C অপশন দুটোই বেস্ট। A-তে আপনার ব্যাঙ্কের তথ্য দিয়ে এবং -C-তে আপনার মোবাইল ফোন নম্বরটি ভেরিফাইড করতে হয়।
এখন আয় করতে চাইলে আপনাকে ভালো PTC সাইট খুজে বের করতে হবে। নেট-এ অনেক PTC সাইট আছে যার অধিকাংশই Scam site যা আগেই বলেছি। এই সাইটে ভালো ও বিশ্বস্ত সাইটের অনেক লিঙ্ক আছে, সেখান থেকে পছন্দমত সাইট বেছে নিয়ে সাইন আপ করে কাজ শুরু করে দেখতে পারেন।
এ সাইটে দেয়া বামপার্শ্বের Legit ও ডানপাশের Elite সাইটগুলো অথবা পছন্দমত সাইটে রেজিষ্ট্রেশনের পর লগ ইন করে কাজ শুরু করুন। আমি একটা সবচে ভালো সাইটের উদাহরন দিচ্ছি কিভাবে কী করতে হবে। আপনি এই লিঙ্কে--http://www.neobux.com গিয়ে আগে নিবন্ধন ও লগইন করলে এই সাইটে View Advertisements দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করে পেজটি ওপেন করলে দেখতে পাবেন আপনার জন্য কিছু এড আছে যেগুলো আপনাকে ভিজিট করতে হবে। একটা এডের ওপর ক্লিক করলে ছোটো লাল গোলচিন্হ আসবে, যার ওপর ক্লিক করলেই এডটি ভিন্ন ট্যাবে ওপেন হবে। কিছুক্ষন ওয়েট করলেই মেসেজ আসবে যে, Advertisement validated! $0.001 were credited in your account.
এভাবে হলুদ তারকাওলা সব এড ভিজিট করুন। ১০/১২টা সাইটের সব এড দেখতে ১ ঘন্টার মত লাগবে। অন্য সাইটগুলোর আপনার একাউন্টে আরনিং এরিয়া বা ভিউ এড বা ব্রাউজ এড অপশনে ক্লিক করলেই দেখবেন এডভারটাইজমেন্ট হেয়ার লিখিত যার নিচে কিছু রেডি এড আছে--যা আপনাকে ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে আয় করার জন্য। আরনিং দেখতে হলে মাই একাউন্টে ক্লিক করলে তা দেখা যাবে। আপনি এভাবে প্রতিদিন ১০/১২টি সাইটের এড ভিজিট করে মাসের শেষে আপনার কিছু ডলার জমা হবে যা এলার্টপের মাধ্যমে ক্যাশ করতে পারবেন। পেপল একাউন্ট এদেশে চালু নেই, কাজেই যারা পেপলের মাধ্যমে টাকা পাবেন বলে প্রচার করে--তারা অবশ্যই ভুয়া  ও মিছেকথা প্রচার করে, তা নিশ্চিত জানবেন।
তবে আয় বাড়াতে তাহলে কী করতে হবে? আপনার রেফারেল বানাতে ও বাড়াতে হবে অথাৎ আপনার মাধ্যমে আরো অনেককে ঐ সাইটে জয়েন করাতে হবে। উপরোক্ত সাইটগুলোর Banner বা Promotion tools-এ আপনার রেফারেল লিংক পাবেন, এই লিংকটা বিভিন্ন ফোরাম, ব্লগ, সামাজিক নেটওয়া্র্ক সাইটে দি্য়ে অন্যদের জয়েন করতে ইনভাইট করুন। প্রতিদিন এজন্য আরো ৩০/৪০ মিনিট কাজ করুন। ১ মাসে আপনি ১০০ বা আরো বেশী রেফারেল বানাতে পারলে আপনার ইনকাম অনেক বেড়ে যাবে।
PTC থেকে ভাল আয় করার সবচে গুরুত্বপুর্ন একটা টেকনিক আছে, সেটা হল রেন্ট রেফারেল। আপনি রেফারেল ভাড়া নিতেও পারবেন। আপনার আয়ের একটা অংশ রেন্ট রেফারেল এর জন্য ব্যয় করতে পারেন বেশী ইনকামের স্বার্থে। একাজে ইনভেষ্টও করতে পারেন আপনার এলার্টপেতে ডলার জমা থাকলে। নিওবাকস সাইটে আপনার ইউজারনেম-এ ক্লিক করলে রেফারেল ট্যাব পাবেন, রেফারেল-এ ক্লিক করলে আপনি রেন্ট রেফারেল অপশন পাবেন। ১০০ জনকে রেন্টের জন্য ১মাসে ২০ ডলার খরচ লাগবে মাসিক। আপনি যদি ১০০ জনকে রেন্ট বা ভাড়া করেন তাহলে ঐ ১০০ জনের আয়ের একটা পারসেন্টেজ আপনিও পাবেন। ফলে আপনার ইনকাম খুব দ্রুত বেড়ে যাবে। এভাবে ১০/১২টা সাইট থেকে কয়েক মাস পর মাসিক ৩০০ থেকে ১০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা অসম্ভব নয় মোটেই। সুতরাং প্লান নিয়ে আজই নেমে পড়তে পারেন।
**সতর্কতা: এলার্টপে বা জেনুইন আরনিং সাইট থেকে একটা পিসির মাধ্যমে একটার বেশি একাউন্ট করলেই কিন্তু ব্লক হয়ে যাবেন এবং সব আয় বাতিল হয়ে যাবে মনে রাখবেন।।
পিটিসি কি এবং পিটিসি দিয়ে আয় এর উপায়ঃ
PTC তে ব্যর্থ হও্য়ার একটা বড় কারণ হলো, প্রচুর scam সাইট আছে, প্রায় ৯৫ ভাগই scam সাইট। তাই PTC নিয়ে কাজ করতে হলে প্রথমেই elite বা legit সাইট খুজে বের করতে হবে(এটাই কঠিন কাজ।এখন দেখি কিভাবে এই সাইট থেকে আয় করা যায়।
Neobux একটি elite সাইট। গত ৩ বছর এই সাইট টি তাদের মেমবার দের কোনো অভি্যোগ ছাড়াই পে করে আসছে (instant payment)। এই সাইট এ রেজিষ্ট্টেশন ফ্রি। এই সাইটে $২ জমা হলেই আপনি  এলার্টপেতে $ নিতে পারবেন।
আসলে PTC একটা দলীয় খেলার মত, একা একা এইখানে খুব বেশি কিছু করা যায় না। সফল হতে গেলে আপনার একটা দল(team) লাগবে। ২ ভাবে দল বানানো যায়। Direct referral এবং Rent referral। Neobux এ জয়েন করার ৩০ দিন পর থেকে Direct referral নে্য়া যায় (অন্য সাইট এ জয়েন করার পর থেকেই যায়।
Direct referrals:
Neobux-এ ৩০ দিন একা একা কষ্ট করে কাজ করার পর আপনি Direct referral এর মাধ্যমে অন্যকে জয়েন করাতে পারবেন। Banners এ ক্লিক করলে রেফারেল লিংক পাওয়া যাবে। এই লিংকের মাধ্যমে যারা জয়েন করবে তাদের কে নিয়ে আপনার টীম হবে। তারা ক্লিক করলে তাদের আয়ের একটা অংশ আপনি পাবেন। standard member রা পাবে প্রতি ক্লিক এ $০.০০৫। standard member ৩০ জন Direct referral নিতে পারবে (upgrade করলে বাড়বে। এখন আপনরা যদি ৩০ জন Direct referral থাকে এবং তারা যদি গড়ে প্রতিদিন ২টা ক্লিক করে তাহলে টোটাল ক্লিক ৬০ টা, আয় ৩০ সেন্ট প্রতিদিন + আপনার আয়।
Rent referrals:
রেন্ট রেফারেল হল PTC থেকে আয় করার সবচে গুরুত্বপুর্ন টেকনিক। জয়েন করার পর পরই রেফারেল রেন্ট নেয়া যায়। এই জন্য invest করা লাগে। আপনার alertpay তে যদি $ থাকে তাহলে আপনি invest করতে পারবেন। এই জন্য alertpay অবশ্যই ভেরিফাইড হতে হবে (ক্যাশআউট করার জন্য ভেরিফাইড না হলেও চলবে।
Neobux এ রেন্ট করার রেট এই রকম: $০.৯০ -> ৩ জন (৩০ দিন মে্য়াদ
$১ -> ৫ জন (৩০দিন
$২-> ১০ জন(৩০দিন
$৫-> ২৫ জন
$২০->১০০ জন।
৩০ দিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে রিনিউ করা যায়। রিনিউ করার সময় ২৪০ দিনরে জন্য রিনিউ করা ভাল, তাহলে ৩০% ডিসকাউন্ট পা্ওয়া যায়।
এখন আপনি যদি ১০০ জন রেন্ট নিয়ে কাজ করেন আর তারা যদি গড়ে ২টা ক্লিক করে তাহলে $১ প্রতিদিন আয় করা যাবে। standard member ৩০০ জন রেন্ট নিতে পারবে(upgrade করলে বাড়বে। যদি রেন্ট রেফারেল ক্লিক না করে (একটিভ না তাহলে recycle করা যাবে। recycle চার্জ $০.০৭ প্রতি জন।

Upgrade:
ফ্রি রেজি: করলে standard member হয়। standard member থেকে Upgrade করলে golden member হবে। golden member হতে $৯০ লাগবে ১ বছর এর জন্য। Upgrade করলে Direct referral/Rent referrals লিমিট বেড়ে যাবে। ২০০০ রেন্ট রেফারেল নেয়া যাবে এবং সব চে বড় কথা ক্লিক value বেড়ে $০.০১ হবে।
আপনি যদি Upgrade করেন এবং ২০০০ রেন্ট রেফারেল নেন তাহলে ৪০০০ ক্লিক (গড়ে ২ ধরে এ $৪০ প্রতিদিন।
ভাই বন্ধু রা প্রায় সময় বলেন অনেক চেষ্টা করেছেন অনলাইন এ আয় করতে কিন্তু পারেন নি । তারপর জানতে চান তুমি কিভাবে করো ? আমিও হেন তেন বলে বাচার চেষ্টা করি । সামু,প্রথম আলো,টেকটিউন এ অনেক কেই দেখেছি অনলাইন আয়ের টিপস দিতে । ৮০ ভাগ বেলায় যিনি টিপস দিচ্ছেন তিনি নিজেই পারছেন না অনলাইন এ আয় করতে ,উনি চেষ্টা করছেন উনার blogspot.com সাইট টি তে কিছু ভিজিটর বাড়াতে । বেশির ভাগ টিপস দেখলাম ptc site,blogspot+adsence নিয়ে কিন্তু আমার প্রিয় sector wap site নিয়ে লেখা খুব rare । বিশ্বাস করুন wap site থেকে আয় খুব এ সহজ ।
আমি এখানে শুধু লিন্ক দিব । ছবি দিয়ে বুঝাতে পারবো না । এতটা নাদান হলে হবে না !
প্রথমেই mobile advertising company গুলোর ঠিকানা :
http://admob.com
http://buzzcity.com
http://mobgold.com
http://mojiva.com
আমি অনুরোধ করবো http://admob.com এ register করতে ,এটির মালিকানা google এর । ওরা pay করে paypal আর চেক দিয়ে । ওদের চেক আপনি বিডি এর bank থেকে ক্যাশ করতে পারবেন ।
আর যদি আপনার paypal না থাকে,কিন্তু moneybookers থাকে তাহলে mobpartner.com ইউজ করতে পারেন । mobpartner.com টাকা পাঠায় moneybookers এও ।
এবার আসুন সাইট বানাই ।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি অলরেডি html অন্তত জানেন । ধরে নিচ্ছি আপনি blogspot আর অন্যান্য free web hosting try করেছেন ।
প্রথমে wap site create করুন । design নিয়ে ভাববেন না এখন । আপনি free wap site বানাতে পারেন নিচের site গুলো থেকে যদি আপনি অলরেডি free web hosting use না করেন
http://mywibes.com/
http://wap.wapka.mobi/wapka_index.xhtml
http://phn.me
এই site গুলো আপনাকে ওদের wap builder এর মাধ্যমে design করতে দিবে । ওরা আপনাকে এড কোড বসাতে দিবে ।
আপনি যদি advanced user হন আর যদি free web hosting গুলো use করেন তাহলে নিচের লিন্ক গুলো ভিজিট করুন
http://coding-talk.com
http://coding-central.info
এই সাইট গুলো থেকে wap script নামিয়ে আপনার free web hosting সাইট এ ইনস্টল করুন । তারপর এড কোড গুলো বসিয়ে দিন ।
সাইট বানিয়ে বসে থাকলে তো আর হবেনা ! ভিজিটর বাড়াতে হবে । ভিজিটর বাড়াতে গিয়ে দয়া করে spammer হবেন না ।
wap toplist গুলোতে রেজিষ্টার করুন । রেজিষ্টার এর পর ওদের দেয়া লিন্ক গুলো আপনার সাইট এ বসান । ভিজিটর পাবেন ই । গুগল এ সার্চ দিন
http://www.google.com/search?q=wap+toplist
একটা বিষয় মনে রাখবেন,সাইট এর content এই আসল বিষয় । আপনার সাইট থেকে পাওয়ার মত কিছু থাকলে অবশ্যই ভিজিটর পাবেন ।

এলার্ট পে কি এবং কিভাবে টাকা তুলবেনঃ

ইন্টারনেটে অর্জিত অর্থ উত্তোলনের অন্যতম মাধ্যম হল এল্যার্ট-পে এর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট। এল্যার্ট-পে থেকে চেকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা যায়।
এলার্টপে সাইটের একটি ভাল সার্ভিস হচ্ছে এর সাপোর্ট সেন্টার যার মাধ্যমে কোন সমস্যায় পড়লে খুব দ্রুতই সমাধান পাওয়া যায়। বিশেষ করে একাউন্ট ভেরিফিকেশন, ব্যাংক একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড যাচাই এ কোন সমস্যায় পড়লে সাপোর্ট সেন্টার মাত্র কয়েকদিনেই সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেয়। এইসকল সুবিধার কারণে এলার্টপে সার্ভিসটির প্রসার দিন দিন বাড়ছে।

একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়া:

এলার্টপে সাইটে তিন ধরনের একাউন্ট রয়েছে – Personal Starter, Personal Pro এবং Business। একাউন্টগুলোর যেকোন একটিতে বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন করা যায় এবং পরবর্তীতে যে কোন সময় একাউন্ট পরিবর্তন করা যায়। তিনটি একাউন্টের সাহায্যই ইন্টারনেটে নিরাপদে কেনাকাটা করা এবং বিনামূল্যে অন্য ব্যবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। এর বাইরে তিনটি একাউন্টের আলাদা আলাদা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এগুলো হচ্ছে…

১) Personal Starter:
এই ধরনের একাউন্টের একমাত্র বড় সুবিধা হচ্ছে অন্য এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করতে কোন ধরনের ফি দিতে হয় না। তবে এই ধরনের একাউন্টে কেউ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিলে তা পাওয়া যায় না। আরেকটি অসুবিধা হচ্ছে মাসে ৪০০ ডলারের বেশি টাকা গ্রহণ করা যায় না এবং সকল পেমেন্টসহ সর্বমোট ২,০০০ ডলারের বেশি অর্থ গ্রহণ করা যাবে না।
২) Personal Pro:
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই ধরনের একাউন্টে সকল ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে টাকা গ্রহণে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তবে এক্ষেত্রে অন্য একজন এলার্টপে ব্যবহারকারী থেকে টাকা গ্রহণ করলে ২.৫% + ০.২৫ ডলার ফি দিতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোন ব্যবহারকারী টাকা পাঠালে ফি এর পরিমাণ হয় ৪.৯% + ০.২৫ ডলার। এই ধরনের একাউন্টের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এর ব্যাবহারকারী ইচ্ছে করলে নিজের ওয়েবসাইটে এলার্টপে যুক্ত করে কোন পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবে এবং ক্রেতার কাছ থেকে সহজেই টাকা গ্রহণ করতে পারবে।
৩) Business:
এই একাউন্টটির সাহায্যে আপনার নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এখানে একটি একাউন্টের সাহায্যে একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। এই একাউন্টের আরেকটা সুবিধা হচ্ছে একসাথে একাধিক ব্যাবহারকারীকে টাকা পাঠানো যায়। আর টাকা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে Personal Pro একাউন্টের মতই সমপরিমাণ ফি দিতে হয়।
এলার্টপে সাইটে রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি পেপাল বা মানিবুকার্স মতই। এজন্য প্রথমে একাউন্টের ধরন নির্ধারণ করে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, ইমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড, পিন নাম্বার ইত্যাদি দিতে হবে। পিন নাম্বারটি পাসওয়ার্ডের মতই একটি গোপন নাম্বার যা অর্থ লেনদেনের সময় প্রয়োজন পড়বে। সফলভাবে রেজিষ্ট্রেশন করার পর একাউন্টটি টাকা গ্রহণের উপযোগী হবে। তবে টাকা নিজের ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডে পাঠাতে একাউন্টটিকে Verify করতে হবে। এজন্য Become AlertPay Verified নামক একটি লিংক দেখতে পাবেন। এখানে নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্টের স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে। এছাড়া যাদের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড আছে তারা এর মাধ্যমেও Verify হতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে ফোন নাম্বার যাচাই করা হয়।
এল্যার্ট-পে (AlertPay)-তে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতিঃ

  • ধাপ-১: এল্যার্ট-পে (AlertPay)-তে অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে --এখানে ক্লিক করুন
  • ধাপ-২: ওয়েবসাইটটি খুললে তার উপরে ডান দিকের Sing Up Now লিখাটিতে ক্লিক করুন।
  • ধাপ-৩: এখন Select your country তে আপনার দেশ (Country) নির্বাচন করুন।
  • ধাপ-৪: তারপর Select your account type এ Personal Starter/Personal Pro/Business তে টিক চিহ্ন দিয়ে Next Step লেখাটিতে ক্লিক করুন।
  • ধাপ-৫: এবার Personal Information এর যে ফরমটি আসবে তা যথাযথ ভাবে পূরণ করে Next Step লেখাটিতে ক্লিক করুন।
  • ধাপ-৬: আবার Account Information এর যে ফরমটি আসবে তা যথাযথ ভাবে পূরণ করে Final Step লেখাটিতে ক্লিক করুন।
  • ধাপ-৭: এখন আপনি আপনার ইমেল অ্যাকাউন্টে গিয়ে ইমেলটি ভেরিফাই করে দিলেই এল্যার্ট-পে (AlertPay) এর অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যাবে।

দেশে টাকা আনার উপায়:

এলার্টপে একাউন্ট থেকে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে টাকা আনা যায়। পদ্ধতিগুলো হল – চেক, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার এবং ব্যাংক ওয়্যার।
১) চেক:
এই পদ্ধতিতে একটি চিঠির মাধ্যমে চেক পাঠানো হয়। চেকের জন্য এলার্টপে-কে ৪ ডলার ফি দিতে হয় এবং একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ ডলার হলে চেকের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার ২ দিনের মধ্যে একটি চেক আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে, যা হাতে পেতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। চেকটি ডলারে পাঠানো হয় তাই যেসব ব্যাংক ডলারে চেক গ্রহণ করে সেখানে এটি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আরো কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারেবে। সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে চেক থেকে টাকা তোলতে অল্প একটা ফি দিতে হয়, তবে সময় বেশি নিবে। আর বেসরকারী ব্যাংকে তুলনামূলকভাবে বেশি ফি দিতে হবে কিন্তু সময় অনেক কম লাগবে।
২) ক্রেডিট কার্ড:
যাদের ভিসা বা মাস্টারকার্ড রয়েছে তারা এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে ক্রেডিট কার্ডের কথা বলা হলেও এটি ডেবিট কার্ডও সাপোর্ট করে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারদের Payoneer ডেবিট মাস্টারকার্ড রয়েছে। তারাও এই কার্ডে সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এজন্য প্রথমে এলার্টপে সাইটে কার্ডটি যোগ করতে হবে। কার্ডটি যাচাই করার জন্য এলার্টপে আপনার কার্ড থেকে ১ থেকে ২ ডলারের মধ্যে একটি অর্থ এলার্টপে একাউন্টে নিয়ে আসবে। এরপর Payoneer সাইটে লগইন করে দেখতে হবে কত ডলার লেনদেন হয়েছে এবং সেই পরিমাণটি এলার্টপে সাইটে এসে একটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করাতে হবে। সঠিকভাবে ডলারের পরিমাণটি বলতে পারলে আপনার কার্ডটি অর্থ লেনদেনের জন্য উপযোগী হবে। লক্ষ্যণীয় যে, আপনার এলার্টপে একাউন্টে অর্থ লেনদেনের মূল মূদ্রা হিসেবে ইউরো থাকলে কার্ড যাচাইয়ের পূর্বেই ডলারে পরিবর্তন নিতে হবে। অন্যথায় সঠিকভাবে কার্ডটি যাচাই হবে না। এলার্টপে থেকে কার্ডে প্রতিবার লেনদেনে ৫ ডলার ফি দিতে হয় এবং সর্বনিম্ন ১০ ডলার উঠানো যায়, যা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে কার্ডে সরাসরি চলে আসে। এরপর নিকটস্থ ATM (যেগুলো মার্সারকার্ড সাপোর্ট করে – যেমন (DBBL, Standard Chartered Bank, AB Bank) থেকে যে কোন সময় টাকা তোলা যায়। যাদের Payoneer মাস্টারকার্ড নেই তারা www.vworker.com সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে একটি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। মাস্টারকার্ডটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এই লিংক থেকে।
৩) ব্যাংক ট্রান্সফার:
এলার্টপে থেকে বাংলাদেশে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা আনা যায় না। তবে যাদের Payoneer মাস্টারকার্ডে US Virtual Account নামক সার্ভিসটি আছে তারা এই পদ্ধতিতে মাত্র ০.৫ ডলারের বিনিময়ে কার্ডে টাকা আনতে পারেন। আর সময় লাগে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন। যারা এক বছর থেকে Payoneer কার্ডটি ব্যবহার করছেন তারা এই US Virtual Account এর জন্য Payoneer সাইটে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের First Bank of Delaware নামক ব্যাংকের একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট দেয়া হবে। এই ব্যাংকের সাথে মাস্টারকার্ডটি যুক্ত থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি আপনার ওই ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠায় তখন এটি সরাসরি আপনার কার্ডে জমা হয়ে যাবে। তবে এই ব্যাংক একাউন্ট থেকে কখনও অন্যকে আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন না, শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে এই ব্যাংক একাউন্টটি যুক্ত করতে প্রথমে Add Bank Account পৃষ্ঠায় গিয়ে দেশ হিসেবে United States সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Bank Transfer সিলেক্ট করে একাউন্টটির নাম্বার, ABA Routing নাম্বার, ব্যাংকের নাম ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে, যা Payoneer সাইট থেকে পাওয়া যাবে। এরপর এলার্টপে থেকে আপনার একাউন্টে ১ ডলারের কম দুটি অল্প অর্থ পাঠানো হবে যা Micro Deposit নামে পরিচিত। দুই দিন পর Payonner সাইটে লগইন করে ডলার দুটি দেখতে পাবেন। এই দুটি লেনদেনের পরিমাণ এলার্টপে সাইটে এসে দুটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করতে হবে। সফলভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারলে আপনি সবচেয়ে কম খরচে এলার্টপে থেকে টাকা দেশে আনতে পারবেন।
৪) ব্যাংক ওয়্যার:
যাদের কোন ভিসা বা মাস্টারকার্ড নেই তারা এই পদ্ধতিতে দেশের ব্যাংকে সরাসরি টাকা আনতে পারবেন। এটি সাইটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদ্ধতি। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ৪০ ডলার হলে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যাবে। ব্যাংক ওয়্যারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসতে প্রায় এক সপ্তাহের মত সময় লাগবে। ব্যাংক ওয়্যারের জন্য প্রথমে সাইটে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম্বার, ব্যাংক কোড, ব্রাঞ্চ কোড এবং SWIFT BIC যোগ করতে হবে, যা আপনার ব্যাংকে যোগাযোগ করে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন।

পে প্যাল কি ?

আউটসোর্সিংয়ের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রথম শর্ত হচ্ছে যে দেশকে কাজ দিচ্ছে, সেখানে অনলাইনে টাকা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে পেপলের কার্যক্রম আছে কি না। বাংলাদেশে পেপলের কার্যক্রম না থাকার কারণে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো এ দেশে কাজের আগ্রহ দেখায় না। ফলে অনেক ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব, এ দেশে পেপলের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো ব্লগ, আর্ন ট্রিকস ব্লগ, ওয়েবসাইট ও গুগোল সার্চ
প্রতিবেদনঃ George Aldrin Ghosh (Tushar)   
তারিখঃ 1 April 2012

Share this article :

0 comments:

Post a Comment

THANKS FOR YOUR CO-OPERATION:

 
Copyright © 2008-2015. Deshi Tunes:: Your most important blogging platform for Tips and Tricks... - All Rights Reserved
Template Modify by DTunes Apps