ব্লগ
বা ওয়েবসাইটে গুগলের এডসেন্স বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে আয় অনেকের কাছেই লোভনীয়
বিষয়। এতে কি পরিমান আয় হয় শুনে অনেকেই আগ্রহ নিয়ে একাজ করতে চান।
বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে বেশকিছু সমস্যার কারনে সেই আশা পুরন হয় না।
সমস্যাগুলির
বেশিরভাগই বাংলাদেশ কেন্দ্রিক। ইন্টারনেটে যেহেতু ভৌগলিক সীমারেখা নেই
সেহেতু আপনি এগুলি এড়িয়ে ভাল করতে পারেন। সেকারনেই আগে জেনে নেয়া প্রয়োজন
সীমাবদ্ধতাগুলি কি।
. ইন্টারনেটের কম ব্যবহার
মোট জনসংখ্যায় বিশাল হলেও বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের হার খুবই কম, ইন্টারনেট ব্যবহার আরো কম। বলা হয় বাংলাদেশে বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ, শতকরা ১ জন।
গুগল এডসেন্স এর আয় নির্ভর করে ভিজিটরের ওপর। ভিজিটর যখন কোন লিংকে ক্লিক করেন তখন আপনি টাকা পাবেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাই যখন কম তখন ভিজিটরের সংখ্যা কম হবে এটাই স্বাভাবিক।
সাধারনভাবে বলা হয় ব্লগে দৈনিক ১০০০ হিট না হলে এডসেন্স থেকে উল্লেখ করার মত আয় পাওয়া সম্ভব না। বাংলাদেশে খুব বেশি ব্লগ এই সংখ্যক ভিজিটর পায় না।
মোট জনসংখ্যায় বিশাল হলেও বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের হার খুবই কম, ইন্টারনেট ব্যবহার আরো কম। বলা হয় বাংলাদেশে বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ, শতকরা ১ জন।
গুগল এডসেন্স এর আয় নির্ভর করে ভিজিটরের ওপর। ভিজিটর যখন কোন লিংকে ক্লিক করেন তখন আপনি টাকা পাবেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাই যখন কম তখন ভিজিটরের সংখ্যা কম হবে এটাই স্বাভাবিক।
সাধারনভাবে বলা হয় ব্লগে দৈনিক ১০০০ হিট না হলে এডসেন্স থেকে উল্লেখ করার মত আয় পাওয়া সম্ভব না। বাংলাদেশে খুব বেশি ব্লগ এই সংখ্যক ভিজিটর পায় না।
. অনলাইন কেনার ব্যবস্থা না থাকা
কোন ভিজিটর কোন লিংকে ক্লিক করবেন কিছু কেনার জন্য। যদি কেনার সুযোগ না থাকে তাহলে ক্লিক করবেন কেন ?
আপনার সাইটে বেশি সংখ্যক ভিজিটর আকর্ষন করলেও তারা বিজ্ঞাপন লিংকে ক্লিক করবেন না কারন তার অনলাইনে কেনার সুযোগ নেই। দেশের ভেতরে বা বাইরে, কোথাও না। অথচ ইন্টারনেটে যার বিজ্ঞাপন দেন তাদের উদ্দেষ্যই হচ্ছে কিছু বিক্রি করা। কোন পন্য বা সেবা। একারনে বাংলাদেশ থেকে এডসেন্স ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়ার সুযোগ কমে যায়।
কোন ভিজিটর কোন লিংকে ক্লিক করবেন কিছু কেনার জন্য। যদি কেনার সুযোগ না থাকে তাহলে ক্লিক করবেন কেন ?
আপনার সাইটে বেশি সংখ্যক ভিজিটর আকর্ষন করলেও তারা বিজ্ঞাপন লিংকে ক্লিক করবেন না কারন তার অনলাইনে কেনার সুযোগ নেই। দেশের ভেতরে বা বাইরে, কোথাও না। অথচ ইন্টারনেটে যার বিজ্ঞাপন দেন তাদের উদ্দেষ্যই হচ্ছে কিছু বিক্রি করা। কোন পন্য বা সেবা। একারনে বাংলাদেশ থেকে এডসেন্স ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়ার সুযোগ কমে যায়।
. গুগল বাংলা সাইটে এডসেন্স অনুমোদন দেয় না
এডসেন্স ব্যবহারের জন্য গুগলের অনুমোদন নিতে হয়। ইংরেজির বাইরে হিন্দী সহ অনেকগুলি ভাষায় এডসেন্স ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও বাংলায় নেই। সোজা কথায় আপনি বাংলা ওয়েবসাইটের জন্য আবেদন করলে অনুমোদন পাবেন না।
এডসেন্স ব্যবহারের জন্য গুগলের অনুমোদন নিতে হয়। ইংরেজির বাইরে হিন্দী সহ অনেকগুলি ভাষায় এডসেন্স ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও বাংলায় নেই। সোজা কথায় আপনি বাংলা ওয়েবসাইটের জন্য আবেদন করলে অনুমোদন পাবেন না।
. নিজস্ব ডোমেন-হোষ্টিং ব্যবহারে সমস্যা
গুগল তাদের বিনামুল্যের ব্লগ ব্যবস্থা ব্লগারে এডসেন্স ব্যবহারের অনুমতি দেয়। তারপরও, সেটা বিনামুল্যের। কোন একসময় সেটা বন্ধ করবে না এমন নিশ্চয়তা নেই।
আপনি নিশ্চয়ই শুধুমাত্র তাদের মাধ্যমে আয়ের ওপর নির্ভর করবেন না। সাইটে বিভিন্ন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন, এফিলিয়েশন ইত্যাদি থেকেও আয়ের চেষ্টা করবেন। অনেকেই নিজস্ব ডোমেন ছাড়া বিজ্ঞাপন ব্যবহারের সুযোগ দেয় না। আবার বিনামুল্যের অন্য সাইটগুলি ব্যবসায়িক কাজে ব্লগ ব্যবহারের সুযোগ দেয় না (যেমন ওয়ার্ডপ্রেস)।
আপনার তখন টাকা খরচ করে নিজস্ব ডোমেন কেনা এবং সার্ভার করা ছাড়া উপায় থাকে না। আপনি বিশ্বসেরা কোন হোষ্টিং সেবা নেয়ার সময়ও অনলাইনে টাকা দেয়ার প্রশ্ন চলে আসে। পেপল এর সম বিনামুল্যের সেবা ব্যবহারের সুযোগ নেই বলে আপনি সেটা করতে পারছেন না।
যদিও অনেক কোম্পানীর স্থানীয় প্রতিনিধি রয়েছে যেখানে স্থানীয় মুদ্রায় অর্থ দেয়া যায়। অনেকেই এতে আস্থা রাখতে ভয় পান।
গুগল তাদের বিনামুল্যের ব্লগ ব্যবস্থা ব্লগারে এডসেন্স ব্যবহারের অনুমতি দেয়। তারপরও, সেটা বিনামুল্যের। কোন একসময় সেটা বন্ধ করবে না এমন নিশ্চয়তা নেই।
আপনি নিশ্চয়ই শুধুমাত্র তাদের মাধ্যমে আয়ের ওপর নির্ভর করবেন না। সাইটে বিভিন্ন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন, এফিলিয়েশন ইত্যাদি থেকেও আয়ের চেষ্টা করবেন। অনেকেই নিজস্ব ডোমেন ছাড়া বিজ্ঞাপন ব্যবহারের সুযোগ দেয় না। আবার বিনামুল্যের অন্য সাইটগুলি ব্যবসায়িক কাজে ব্লগ ব্যবহারের সুযোগ দেয় না (যেমন ওয়ার্ডপ্রেস)।
আপনার তখন টাকা খরচ করে নিজস্ব ডোমেন কেনা এবং সার্ভার করা ছাড়া উপায় থাকে না। আপনি বিশ্বসেরা কোন হোষ্টিং সেবা নেয়ার সময়ও অনলাইনে টাকা দেয়ার প্রশ্ন চলে আসে। পেপল এর সম বিনামুল্যের সেবা ব্যবহারের সুযোগ নেই বলে আপনি সেটা করতে পারছেন না।
যদিও অনেক কোম্পানীর স্থানীয় প্রতিনিধি রয়েছে যেখানে স্থানীয় মুদ্রায় অর্থ দেয়া যায়। অনেকেই এতে আস্থা রাখতে ভয় পান।
প্রযুক্তি
মানুষের জীবনে যতধরনের প্রভাব ফেলেছে তারমধ্যে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের
সাথে অন্যকিছুর তুলনা চলে না। শিক্ষা-বিনোদন-কর্মসংস্থান সবকিছুই সহজ করে
দিয়েছে প্রযুক্তি। তারপরও তাকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে সামান্য কিছু
কারনে।
হয়ত
অন্যান্য বিষয়ের মত এখানেও সাধারন মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে ইন্টারনেটের
ব্যবহার সহজ করা, পেপলের মত ব্যবস্থা চালু করা ইত্যাদি দাবী নিয়ে। আপাতত
একে সমস্যা মনে করছেন না কেউই।
0 comments:
Post a Comment
THANKS FOR YOUR CO-OPERATION: